নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে বরকত-রুবেলের সাম্রাজ্যে তারাই ছিলেন সর্বেসর্বা। এ চক্রের সঙ্গে চেনা জানা পরিচয় থাকা লোকজনকেও আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, তর তর করে তারা উঠে গেছে উর্দ্ধপানে। বরকত-রুবেলের হাত-পা টিপে দেওয়া লোকও অনায়াসে দলীয় পদ পদবী পেয়েছেন, ক্ষমতা-খবরদারিত্ব, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অর্থবিত্ত হাতিয়ে তারা রাতারাতি ধনাঢ্য বনেছেন। আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপকেও হার মানিয়েছেন অনেকে। এ কাতারেই নাম উঠে এসেছে হাইব্রিড নেতা জাহিদের। ক’বছর আগেও ছিচকে মাস্তানি আর ধান্ধাবাজি করে এই জাহিদের জীবিকা নির্বাহ হতো ফরিদপুরে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ছ্যাঁচড়া হিসেবে চিহ্নিত জাহিদের ফরিদপুরে বিচরণ করা কষ্টকর হয়ে পড়লে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান।
এরমধ্যেই ফরিদপুরে বরকত-রুবেল সাম্রাজ্য গড়ে উঠতেই বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসেন জাহিদ। বরকতের বৌর ভাগ্নি জামাই হিসেবে পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন তিনি। নিজ গ্রাম সাদীপুরে ঘাঁটি গেড়েই শাসন শোষণ চালান সর্বত্র। বরকতের কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা দেখা শুনা করতেন। জাহিদ তার এলাকায় গড়ে তোলেন আলাদা রাজত্ব। জমি দখল, সালিশ, বিচার করে টাকা খাওয়া, তার রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী, তাদের দ্বারা পরিচালিত হয় মাদক ব্যাবসা, চুরি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ। একের পর এক অবৈধ কার্যকালাপ চালালেও তার বিরুদ্ধে কারও মুখ খোলার সাহস নেই। মুখ খুললেই ভয় দেখায় বরকত, রুবেলের। এই ভয়ে আলিয়াবাদ ইউ.পি ২নং ওয়ার্ডে দলীয় সভাপতিও করা হয় তাকে। অনেক ত্যাগি সিনিয়র নেতারা ঠাই পাননি তার কাছে। এলাকার অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি এখনো। বরকত রুবেলের সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও বিরাট দাপুটে জাহিদ কৌশলে তার রাজত্ব ধরে রেখেছে এখনো। সাধারণ মানুষ এই মহামারীর সময়, হাইব্রিড নেতা জাহিদ মিয়ার কাছ থেকে মুক্তি চায়।
Leave a Reply